চাই প্রসূতি মায়ের নিবিড় যত্ন

প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না
রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-
লেখক: আলী হাসান তৈয়ব | সম্পাদনা: আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
২৮ মে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। প্রতি বছর এর প্রতিবাদ্য থাকে সাধারণত‘প্রসূতি মায়ের যত্ন নিন, মাতৃমৃত্যু রোধকরুন’ এ ধরনের কিছু। ইসলামে প্রসূতির নিরাপদ মাতৃত্ব লাভের অধিকার ও মাতৃস্বাস্থ্য পরিচর্যারব্যাপারে বিভিন্ন শিক্ষা ও দিকনির্দেশনা রয়েছে। মাতৃত্ব অর্জন যে কোনোনারীসত্তাকে পূর্ণতায় পৌঁছে দেয়। গর্ভবতী মাকে দীনী বিধি-নিষেধ এবং অনেককঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয়, অন্যথায় মা ও শিশু উভয়েরই মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়ে। তাই যিনি মা হবেন, তার অবশ্যই স্বাস্থ্য উন্নয়ন, সচেতনতা বাড়ানো ওযথেষ্ট পরিচর্যা করতে হবে। একজন সুস্থ মা একটি সুস্থ শিশুর জন্ম দিতেপারেন। সুস্থ শিশুর জন্য নিশ্চিত করতে হবে নিরাপদ মাতৃত্ব। এজন্য গর্ভবতীমায়ের প্রয়োজনীয় বিশ্রাম, যত্ন ও সেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একজন নারী নিরাপদে মাহবেন-এ দায়িত্ব পরিবার এবং সমাজের সবার। এ সময়টামুসলিম পরিবারের সদস্যদের বিশেষ বিবেচনার দাবী রাখে। প্রকৃতপক্ষে নিরাপদ মাতৃত্ব প্রতিটি গর্ভবতীনারীরই ন্যায্য প্রাপ্য বা ন্যায়সঙ্গত অধিকার। এর সঙ্গে দেশ ও জাতিরভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
এ মর্মে পবিত্র কুরআনেআল্লাহ তা‘আলা ঘোষণা করেছেন, “আর সন্তানবতী নারীরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ন দু’বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়াবার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়। আর সন্তানের অধিকারী অর্থাৎ, পিতার উপর হলো সে সমস্ত নারীর খোর-পোষের দায়িত্ব প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী। কাউকে তার সামর্থাতিরিক্ত চাপের সম্মুখীন করা হয় না। আর মাকে তার সন্তানের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। এবং যার সন্তান তাকেও তার সন্তানের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন করা যাবে না। আর ওয়ারিসদের উপরও দায়িত্ব এই। তারপর যদি পিতা-মাতা ইচ্ছা করে, তাহলে দু’বছরের ভিতরেই নিজেদের পারস্পরিক পরামর্শক্রমে দুধ ছাড়িয়ে দিতে পারে, তাতে তাদের কোন পাপ নেই, আর যদি তোমরা কোন ধাত্রীর দ্বারা নিজের সন্তানদেরকে দুধ খাওয়াতে চাও, তাহলে যদি তোমরা সাব্যস্তকৃত প্রচলিত বিনিময় দিয়ে দাও তাতেও কোন পাপ নেই। আর আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ অত্যন্ত ভাল করেই দেখেন।”[সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৩৩]
পৃথিবীরসবচেয়ে মধুর শব্দ ‘মা’।বলা হয়ে থাকে একজন নারীর পূর্ণতা আসে মাতৃত্বে।পশ্চিমা এক মনীষী লুতোহিচি বলেন, নারীর সারা চেতন মনে মাতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা জড়িয়ে থাকে।এ পৃথিবীর সবার স্রষ্টা মহান রাব্বুল ‘আলামীন নারী-পুরুষের মিলনের মাধ্যমে পৃথিবীতে মানব বংশবিস্তারের ধারা অব্যাহত রেখেছেন।
“হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচঞ্ঝা করে থাক এবং আত্নীয় জ্ঞাতিদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১]
তবে বংশানুক্রম ধারা টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আল্লাহ তা‘আলা প্রধানত নারীর ওপর তারমাতৃত্বের মধ্য দিয়ে অর্পণ করেছেন। মায়ের এ অতুলনীয় ত্যাগের দিকটির কথা উল্লেখকরে মহান আল্লাহ বারবার মায়ের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণের নির্দেশ দিয়েছেন।তিনি বলেছেন, “আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দু বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে। পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো।” [সূরালোকমান, আয়াত: ১৪-১৫]
নিরাপদ মাতৃত্বের অধিকার একটি মানবাধিকার।তেমনি নিরাপদ প্রসবের সব ধরনের সুযোগ পাওয়াও একজন মায়ের অধিকার। একজননাগরিক হিসেবে তিনি সে অধিকার ভোগ করার ক্ষমতা রাখেন। স্ত্রী বা সন্তানেরমা যাতে প্রয়োজনীয় পরিমাণে প্রোটিন ও ভিটামিনসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণে যত্নবানহন, এদিকে পরিবারের প্রধান বা স্বামীর দৃষ্টি রাখা অবশ্য কর্তব্য। সন্তানপেটে এলে গর্ভবতী মাকে পুষ্টিকর এবং পরিমাণে বেশি খাবার খাওয়া প্রয়োজন।কেননা, তার খাবারে একটি নয়, দুটি প্রাণ বাঁচে। হালাল রিযিক ভক্ষণ ও তার শুকরিয়া আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন মহান আল্লাহ। এ মর্মে কুরআনে বিবৃত হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ, তোমরা পবিত্র বস্তু সামগ্রী আহার কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রুযী হিসাবে দান করেছি এবং শুকরিয়া আদায় কর আল্লাহর, যদি তোমরা তাঁরই বন্দেগী কর।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৭২]
স্ত্রীর ভরণ-পোষণের গুরুদায়িত্ব স্বামীকে যথাযথভাবে পালন করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে হাদীসে। গর্ভকালীন এবং শিশুকে দুধ দানকালে এ ব্যাপারে বেশি সতর্ক দৃষ্টি রাখাদরকার।স্ত্রীর অধিকারের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম। মু‘আবিয়া কুশাইরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মুখে এলাম। এরপর তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আমাদের স্ত্রীদের (হক) বিষয়ে আপনি কী বলেন? তিনি বললেন, তোমরা (স্বামীরা) যা খাবে, তাদের (নারীদের) তাই খেতে দেবে। তাদের তাই পরাবে যা তোমরা পরবে। আর তাদের প্রহার করবে না এবং তাদের কটূ-কাটব্য করবে না।”(আবূ দাঊদ, হাদীস নং ২১৪৪) গর্ভধারণের সময় স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতারজন্য সবার আগে তার স্বামীর সহযোগিতা প্রয়োজন। এজন্য সন্তানসম্ভবা মায়েরপ্রতি সবার দায়িত্ব রয়েছে। হাদীসে এসেছে, “তোমরা চিকিৎসা করাও, কারণ আল্লাহ তা‘আলা যে রোগই দিয়েছেন তার প্রতিষেধকও দিয়েছেন। শুধু একটি রোগ ব্যতীত আর তা হচ্ছে, বার্ধক্য।” [আবূ দাউদ, হাদীস নং ৩৮৫৫]
আবুদ-দারদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ রোগ এবং দাওয়া (ওষুধ) দু’টিই পাঠিয়েছেন এবং প্রতিটি রোগেরই ওষুধ রয়েছে।সুতরাং তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ করো।তবে হারাম বস্তু দিয়ে চিকিৎসা করোনা।” (আবূ দাউদ, হাদীস নং ৩৮৭৪, [যঈফ বা হাসান লিগাইরিহী]) অন্য হাদীছে রয়েছে, জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “প্রত্যেক রোগেরই ওষুধ রয়েছে। যখন কোনো রোগের ওষুধ প্রয়োগ হয়, আল্লাহ তা‘আলার অনুমতিতে তা ভালো হয়ে যায়।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২০৪)
ইসলামে সন্তান প্রসবকালীন পবিত্রতা রক্ষা ও সাবধানতাঅবলম্বনের ব্যাপারে দিকনির্দেশনা রয়েছে।হাদীছ ও ফিকহের কিতাবসমূহে নিফাসগ্রস্ত নারী প্রসঙ্গে বহু অধ্যায় রচিত হয়েছে।সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময়প্রসূতিকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হয়।দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারীহাসপাতাল, পর্যাপ্ত ডাক্তার, আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব এবং চিকিৎসালয়ে পর্দা রক্ষার উপযুক্ত পরিবেশের অপ্রতুলতা এখনও প্রকট।মা ওশিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র, স্যাটেলাইট ক্লিনিক এবং বিভিন্ন এনজিও বা সংস্থারমা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর দশা এতটাই খারাপ যেসার্বক্ষণিকডাক্তারের অভাব খুবই প্রকট। তারপরও মাতৃত্ব নিরাপদ করতে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে;সবার মধ্যে সচেতনতাবাড়াতে হবে;নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত হবে;সব শ্রেণির মানুষ এ অধিকার পাবে, সেটাইআমাদের প্রত্যাশা।
বাংলাদেশে অশিক্ষিত পরিবারে বিশেষত গ্রামাঞ্চলে গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী মায়ের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব না দেওয়ায় একসময় অহরহ মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটত। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের নানামুখী উদ্যোগ ও রাষ্ট্রের ইতিবাচক তৎপরতায় অবস্থার বেশ উন্নতি ঘটেছে। ১৯৮৭ সালে কেনিয়ারনাইরোবিতে উন্নয়ন সহযোগীদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিরাপদ মাতৃত্ব বিষয়েপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ১৯৯৭ সালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় অনুষ্ঠিতএক বৈঠকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন বিষয়টি পর্যালোচনা এবং এ কার্যক্রমকেএগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে। যার মূল উদ্দেশ্য হলো নিরাপদমাতৃত্বকে নারীর অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে মা ও নবজাতকের মৃত্যুহারকমিয়ে আনা। (সূত্র: বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক সংবাদ পত্র)
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে জীবিত জন্মে ১৯৪ জন।নবজাতকের মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৩২ জন। ২০১১ সালেজাতিসংঘের ৬৬তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে মা ও শিশুস্বাস্থ্যে অসামান্য অবদানের জন্য ডিজিটাল হেলথ ফর ডিজিটাল ডেভেলপমেন্টশীর্ষক ‘সাউথ-সাউথ’পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ইসলামে নারী ও শিশু বিশেষত মা ও মাতৃজাতির মর্যাদা রক্ষা, প্রতিষ্ঠা ও যত্ন আত্তির ব্যাপারে ইসলামে সীমাহীন গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর দাবী ছিল গর্ভবতী ও প্রসূতিমায়ের ব্যাপারে ইসলামের ধারক-বাহকরা সমাজ ও রাষ্ট্রকে সজাগ সচেতন করবেন।পরিতাপের বিষয়, এব্যাপারে বড় কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। এ জায়গাতাই প্রায় পুরোটাই পশ্চিমা ও তাদের দোসরদের নেতৃত্বাধীন-কর্তৃত্বাধীন এনজিও ও সংগঠনের দখলে।গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র এলাকা গুলোয় এরা সেবার নামে তাই মিশনারি তৎপরতার মাধ্যমে হাজার হাজার মুসলিমের ঈমান হরণ করছে।দেশের পার্বত্য ও উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলোয় ইতোমধ্যে হাজার হাজার মুসলিম ও উপজাতি খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হয়েছে।
এখনই সময় প্রসূতিমায়ের সেবা ও তাদের যত্ন বিষয়ে নিজেদের করণীয় সম্পর্কে সজাগ হওয়া। নিজেদের ভূমিকার জায়গা প্রসারিত করে ছদ্মবেশী শত্রুদের সম্পর্কে সজাতি ও মুসলিম উম্মাহকে সজাগ ও সচেতন করা। এ ক্ষেত্রে আমাদেরকে সম্ভাব্য সব উপায় কাজে লাগাতে হবে। গণমাধ্যম এবং দাওয়াতের সব উপায় ও উপকরণকে কাজে লাগাতে হবে। ইসলামী সেবা কার্যক্রম সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিয়ে বিধর্মীদের কাছে বিপদের দিনে হাত পাতার দুঃখজনক পথ বন্ধ করে দিতে হবে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় জানি, বহু আত্মমর্যাদা বোধসম্পন্ন মুসলিমও গ্রামাঞ্চলে উপায়হীন হয়ে সন্তানসম্ভাবা স্ত্রী বা বোনকে নিয়ে তাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। কারণ প্রত্যন্ত এলাকায় এসব এনজিওদের স্বাস্থসেবাই অনেক স্থানে একমাত্র উপায়। আল্লাহ আমাদের বোঝার এবং কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের তাওফীক দান করুন। মুসলিম জাতিকে বিজাতির সামনে মুখাপেক্ষী হওয়া থেকে রক্ষা করুন। আমীন।

No comments

Powered by Blogger.