আযানের সুন্নাতসমূহ



  •  পাক-পবিত্র অবস্থায় আযান দেয়া।
  •   কিবলামুখি হয়ে আযান দেয়া।
  •   প্রথম দুই তাকবীর এক শ্বাসে একত্রে বলে থামা।
  •   অতঃপর দুই তাকবীর এক শ্বাসে একত্রে বলে থামা এবং উল্লেখিত তাকবীরসমূহের প্রত্যেকটির শেষে সাকিন করা, অর্থাৎ, “আল্লাহু আকবারুল্লাহু আকবারএভাবে না বলা।
  • অতঃপর মাঝের বাক্যগুলীর মধ্য হতে এক একটি বাক্য এক শ্বাসে বলা এবং প্রত্যেক বাক্যের শেষে সাকিন করা থামা।
  •   শেষের দুই তাকবীর এক শ্বাসে একত্রে বলে থামা উভয় তাকবীরের শেষে সাকিন করা।
  •   সর্বশেষে লা-ইলা-হা-ইল্লাল্লাহ বলে আযান শেষ করা।
  •   উল্লেখ্য যে, এক এক বাক্য বলে থামার পর পরিমাণ বিরতি দেয়া, যাতে পঠিত বাক্যটি একবার পড়া যায়; অর্থাৎ, শ্রোতাগণ যেন উক্ত সময়ে আযানের জবাব দিতে পারে।
  •   ডান দিকে চেহারা ফিরানোর পরহাইয়্যা আলাছ ছালাহবলা এবং বাম দিকে চেহারা ফিরানোর পরহাইয়্যা আলাল ফালাহবলা। কিন্তু বুক পা কিবলার দিক থেকে ফিরাবে না।
  •   মহল্লার প্রথম আযান শ্রবণের সাথে সাথে শ্রোতাগণের তিলাওয়াত, জিকির, তাসবীহ ইত্যাদি বন্ধ করে দেয়া।
  •   আযানের শব্দগুলো ধীরে সুস্থে এবং ইকামতের শব্দগুলো তাড়াতাড়ি বলার কথা হাদিসে এসেছে। তাই এভাবে আযান ইকামাত দিবে।
  •   আযানের জবাব দেয়া। অর্থাৎ, মুআজ্জিনের আযানের বাক্য উচ্চারণের ফাঁকে ফাঁকে শ্রোতাগণের হুবহু আযানের শব্দগুলোই বলা। তবেহাইয়্যা আলাছ ছালাহ্এবংহাইয়্যা আলাল ফালাহ্বলার পর জবাবেলা- হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহবলা। আর ফজরের আযানেআছছালাতু খাইরুম মিনান নাঊমএর জবাবেসাদাকতা ওয়া বারারতাবলা।
  •   আযানের শেষে দুরূদ শরীফ পড়া।
  •   দুরূদ শরীফ পড়ার পর এই দোয়া পড়া-

اَلّهُمَّ رَبَّ هذِه الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلوةِ القَائِمَةِ اتِ مُحَمَّد الوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْه مَقَامًا مَّحْمُوْدَ الَّذِيْ وَعَدْتَّه اِنَّكَ لاَ تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রাব্বা হাজিহিদ্ দাওয়াতিত্ তাম্মাতি ওয়াস সালাতিল কায়িমাহ্, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাজিলাতা ওয়াবআস হু মাকামাম মাহমুদানিল লাজি ওয়াদতাহু, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিয়াদ।
(সূত্র: নবীজীর (সাঃ) সুন্নাত)

আমাদের সাথে থাকুন সবসময় ।

No comments

Powered by Blogger.