অনেক মসজিদের আজান একসাথে শোনা গেলে জবাব দেওয়ার নিয়ম
আজানের জবাব দেওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
হাদীসে এসেছে, নবী (সা:) বলেছেন, যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত আজানের জবাব দিবে,
আজানের পর দরুদ ও দোআ পড়বে আল্লাহ তাকে দুনিয়ার জীবনে পরিশুদ্ধ করবেন এবং
রাসূল (সা:) তাকে সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যাবেন। এ
হলো আজানের জবাবদাতার ফযিলত। আর মুআজ্জীনের ফযীলত হলো, যে ব্যক্তি বারো
বছর আজান দিল, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেল। তার প্রতি আজানের জন্য ৬০
নেকি ও ইকামতের জন্য ৩০ নেকি লেখা হয়। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত, হাদীস নং
৬৫৫)
মসজিদের নগরী ঢাকা। আজানের সময় হলে চারদিক থেকে ভেসে আসে আজানের সুর। মিনারে মিনারে আজান। এত আজানের ভিড়ে জবাব দিত হবে কীভাবে ?
মূলত
সব আজানের জবাব দেয়াই উত্তম। তবে সব আজানের জবাব দিতে না পারলে সর্বপ্রথম
যে আজান শোনা যাবে তার জবাব দিতে হবে। প্রথম আযান নিজ মহল্লায় হোক অথবা
অন্য মহল্লায়।
(সূত্র : ফতোয়ায়ে শামি ১ /৩৬৯)
(সূত্র : ফতোয়ায়ে শামি ১ /৩৬৯)
অনেক
সময় রেডিও টিভিতে আযান শোনা যায়। তখনও কী জবাব দিতে হবে? শরয়ী বিশেষজ্ঞদের
মতামত হলো, হাদীস শরীফে আজানের উত্তর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে তা সরাসরি
মুআজ্জিনের থেকে শোনা আজানের বিষয়ে।
নবীজি
বলেছেন, যখন তোমরা মুআজ্জিনকে বলতে শুনবে তখন তোমরাও তার অনুরুপ বল। রেডিও
বা টেলিভিশনে সাধারণত সরাসরি আজান সম্প্রচার করা হয় না। বরং রেকর্ডকৃত।
ধারণকৃত বা রেকর্ডকৃত আজানের জবাব দেওয়া সুন্নাত নয়। (মুসলিম ১/ ১৬৬,
বাদায়েউস সানায়ে, ১/২৭৩ )।
প্রবন্ধটি পড়া শেষ হলে লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করুন।
আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ
No comments