ঢিলা-কুলুখ

প্রশ্নঃ পায়খানার পর ঢিলা-কুলুখের সাথে পানি ব্যবহার করা লাগবে কি না?
উত্তরঃ পায়খানার পর ঢিলা/কুলুখ ব্যবহার করে পানি ব্যবহার করা সুন্নাত। তবে যদি শুধু পানি ব্যবহার করা হয় তাহলেও পবিত্রতা অর্জন হয়ে যাবে। আর যদি পায়খানা পায়ূপথের বাহিরে এক দেরহামের (তথাহাতের তালুর নীচ স্থান সমপরিমানচেয়ে বেশী পরিমান স্থানে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে পানি ব্যবহার করা ওয়াজিব।  ক্ষেত্রে পানি ব্যবহার না করলে পবিত্রতা অর্জন হবে না। সূত্র– ফাতওয়ায়ে শামী।
প্রশ্নঃ পেশাবের পর ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করার গুরুত্ব কতটুকু?
উত্তরঃ পেশাব করার পর ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সুন্নাত। কারণঢিলা-কুলুখ ব্যবহার না করলে নাপাকী ভালভাবে পরিষ্কার হয় না। তবে যদি ঢিলা বা টয়লেট পেপার পাওয়া না যায়তাহলে শুধু পানি দ্বারা অঙ্গ ভালভাবে ধৌত করবে এবং হাত মাটিতে ঘষে অথবা সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে নিবে। –আহসানুল ফাতওয়াবাদায়েউস সানায়ে।
প্রশ্নঃ কয়টি ঢিলা ব্যবহার করা সুন্নাত?
উত্তরঃ ঢিলা ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্ধারিত কোন সংখ্যা জরুরী নয়। বরং পরিষ্কার হওয়া শর্ত। এমনকি যদি একটি ঢিলার দ্বারাও পরিচ্ছন্নতা অর্জন হয় তাহলে সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে। আর যদি তিনটি ঢিলা দ্বারাও পরিচ্ছন্নতা অর্জন না হয় তাহলে সুন্নাত আদায় হবে না। অবশ্য ঢিলার ক্ষেত্রে মুস্তাহাব হলতা বেজোড় সংখ্যায় হওয়া এবং কমপক্ষে ৩টি হওয়া। [তথ্যসূত্র– উমদাতুল ফিকহ্]
প্রশ্নঃ যদি এমন স্থানে পেশাব করে যেখানে ঢিলা ইত্যাদি পাওয়া যায়নি তখন পেশাব করার পদ্ধতি কি?
উত্তরঃ এমন স্থানে পেশাবের পর সাথে সাথে পানি ব্যবহার করবে না। কিছুক্ষণ বসে থাকবেএকটু কাশি দিবে বা অন্ডকোষের নীচ থেকে মূত্রনালীর মাথা পর্যন্ত হালকাভাবে একটু মর্দন করে নিবেতারপর পানি ব্যবহার করবে। যাতে পেশাব পরিপূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যায়। [তথ্যসূত্র– আহসানুল ফতাওয়াফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া]
প্রশ্নঃ বাথরুম বা মলত্যাগের স্থানে ঢিলা রাখার সহীহ পদ্ধতি কি?
উত্তরঃ রাথরুমের ভিতরে বা মলত্যাগের স্থানে ঢিলা রাখার মুস্তাহাব পদ্ধতি হল-পবিত্র পাথরগুলো বা টয়লেট পেপার ডান দিকে রাখবে। ব্যবহৃতগুলো বাম পাশে রাখবে। আর নাপাক লাগা জায়গাটি নীচের দিকে করে রাখবে যাতে নাপাক চোখে না পড়ে। [তথ্যসূত্র– উমদাতুল ফিক্হ]

No comments

Powered by Blogger.