নামাজের একান্নটি সুন্নাত

দাড়ানো অবস্থায় ১১ টি সুন্নাত
. (তাকবীরে তাহরিমার সময়সোজা দাঁড়ান। অর্থাৎ মাথা নিচু না করা।
পায়ের আঙ্গুলসমূহ কিবলা মুখি রাখা। অবশ্য দু পায়ের মাঝে ফাঁকা রাখা মুস্তাহাব।
মুকতাদীর তাকবীরে তাহরীমা ইমামের তাকবীরে তাহরীমার পর সাথে সাথে হওয়া।
. (পুরুষের জন্যতাকবীরে তাহরীমা বলার সময় উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠানো।
তাকবীরে তাহরীমার সময় উভয় হাতের তালু কিবলার দিকে থাকা।
আঙ্গুল গুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় রাখা।
হাত বাধার সময় ডান হাতের আঙ্গুল বাম হাতের পিঠের উপর রাখা।
ডান হাতের বৃদ্ধা  কনিষ্টা আঙ্গুলের দ্বারা বৃত্ত বানিয়ে বাম হাতের কব্জির জোড়া বেষ্টন করে ধরা।
মাঝ খানে তিন আঙ্গুল বাহুর উপর রাখা।
১০নাভীর নিচে হাত বাধা 
১১ছানা পড়া।
ক্বিরাতের সুন্নাত  টি
. “আউযু বিল্লাহ” পূর্ণ পড়া।
. “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” পড়া।
সুরা ফাতেহার শেষে আমীন বলা।
ফজর  যোহর নামাযের তিলাওয়াতে “সূরা হুজরাত” হতে “সূরা বুরুজ” পর্যন্ত সূরা সমূহের মধ্য থেকে কোন একটি সূরা পড়া। এবং আছর  ইশার নামাজে “সূরা তারেক” হতে সূরা “লাম ইয়াকুন” পর্যন্ত সূরা সমূহের যে কোন একটি সূরা পড়া। এবং মাগরিব নামাজে সূরা “যিলযাল” থেকে সূরা “নাস” পর্যন্ত সূরা সমুহের যে কোন একটি সূরা পড়া।
ফরজ নামাজের তৃতীয়  চতুর্থ রাকাতে শুধু সুরা ফাতেহা পড়া।
মধ্যম গতিতে ক্বিরাত পড়া।
ফজরের নামাজের প্রথম রাকাতের ক্বেরাত দ্বিতীয় রাকাত অপেক্ষা দীর্ঘ করা।
রুকুর সুন্নাত –  টি
রুকুতে যাওয়ার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলা।
. (পুরুষের জন্যরুকুতে গিয়ে উভয় হাত দিয়ে হাটু মজবুত ভাবে ধরা।
পুরুষের জন্য হাটু ধরার মধ্যে হাতের আঙ্গুল সমূহ ছড়িয়ে রাখা।
পিঠকে সমতল ভাবে বিছিয়ে দেওয়া।
রুকুর সময় পায়ের নালাগুলো সোজা রাখা।
মাথা  পাছা সমান করে রাখা।
রুকুতে কমপক্ষে তিনবার ‘সুবহানাল্লাহি রাব্বিয়াল আজিম’ বলা।
.রুকু হইতে উঠিবার সময় ইমামের ইমামের জন্য উচ্ছস্বরে ‘সামিআল্লা হুলিমান হামিদা’ বলা এবং মুকতাদির আস্তে ‘রব্বানা লাকাল হামদু’ বলা। আর যিনি যিনি একা নামাজ পড়েন তার জন্য উভয় বাক্য বলা।
সিজদার সুন্নাত ১২ টি
সিজদায় যাওয়ার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলা।
সিজদায় যাওয়ার সময় প্রথমে হাটুদ্বয় জমিনে রাখা।
অতঃপর উভয় হাত রাখা।
অতঃপর নাক রাখ।
অতপর কপাল রাখা।
দুই হাতের মাঝখানে সিজদা করা।
সিজদার সময় পেটকে রান থেকে পৃথক রাখা এবং বাহুদ্বয় হতে পাজর কে পৃথক রাখা।
কনুদ্বয় জমিন থেকে পৃথক রাখা।
সিজদার মধ্যে কমপক্ষে তিন বার ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আলা’ বলা।
১০সিজদা হইতে উঠিবার সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলা।
১১সিজদা হইতে উঠিবার সময় প্রথমে কপাল অতঃপর নাক তারপর উভয় হাত তারপর উভয় হাটু উঠানো।
১২দুই সিজদার মাঝখানে ধীরস্থির ভাবে বসা।
আত্তাহিয়্যাতু’- এর জন্য বসার সুন্নাত ১৩ টি
ডান পায়ের পাতা খাড়া রাখা এবং বাম পায়ের পাতা বিছিয়ে তার উপর বসা এবং পায়ের আঙ্গুলগুলো কিবলা মুখি রাখা।
হাত দুটো রানের উপর রাখা।
আত্তাহিয়্যাতুর মধ্যে ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা’ বলার সময় শাহাদাত আঙ্গুলি লম্বা করে উঠানো এবং লা ইলাহা বলার সময় নিচে করে ফেলা।
শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতুর পর দূরূদ শরীফ পড়া।
দূরূদ শরীফের পর কোরআন  হাদীসের সাথে সাদৃশ্য শব্দ বিশিষ্ট দুআ মাছুরা পড়া।
উভয় দিকে সালাম ফিরানো।
ডান দিক থেকে সালাম ফিরানো আরম্ভ করা।
ছালামের মধ্যে পিছনে মুকতাদী ফেরেশতা  নেককার জ্বিনদের নিয়ত করা।
. (মুকতাদীর জন্যইমামফেরেশতা  নেককার জিন  ডানবামের অন্য মুকতাদীর নিয়ত করা।
১০.মুকতাদীগণ ইমামের পরক্ষনই সাথে সাথে ছালাম ফিরান।
১১দ্বিতীয় ছালামের আওয়াজকে প্রথম ছালামের তুলনায় ছোট করা।
১২মাসবুকের জন্য ইমাম ফারেগ হওয়ার উপেক্ষা করা। (অর্থাৎ ইমাম দ্বিতীয় ছালামের থেকে ফারেগ হওয়ার পর মাসবুক উঠে দাড়াবে এর আগে নয়।
বিশেষ ফায়দাঃ রুকুতে হাতের আঙ্গুলগুলো ছড়ানো ছিল। কিন্তু সেজদাতে সেগুলো মিলিত থাকবে। আর অন্যান্য অবস্থায় তা স্বাভাবিক থাকবে।

No comments

Powered by Blogger.